পাবনায় হারভেস্টপ্লাস ও ভিআরডিএস এসজিও’র আয়োজনে বায়োফার্টিফাইড শস্য উৎপাদন ও স্কেলিং এর উপর এডভোকেসি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনা’র খামারবাড়িস্থ প্রশিক্ষণ হলে ২৮ আগস্ট ২০২৪ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল আজম খান, অধ্যক্ষ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান হলো জিংক। এটি শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় এক উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা বা ইমিউনিটিকে জোরদার করে। মানবদেহে জিংকের অভাব হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখো দেয়। গর্ভকালীন জিংকের ঘাটতি হলে জন্মগত ত্রুটি, কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়াও দেহের বৃদ্ধি রোধ, দৈহিক অপরিপক্বতা বা বামনত্ব হতে পারে। জিংকের অভাবে ডায়রিয়া বা নিউমোনিয়া, পায়ে বা জিহ্বায় ক্ষত, মুখের চারপাশে ক্ষত, একজিমা, ব্রণ, ছত্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণজনিত অসুস্থতা, চুল পড়ে যাওয়া, মানসিক দুর্বলতা, আচরণগত অস্বাভাবিকতা, অমনোযোগিতা, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে আমাদের বাঁচতে জিংকসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি গরু ও ভেড়ার মাংস, সামুদ্রিক মাছ, গরু খাসির কলিজা, লাল আটা-ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাদ্য, মসুর ডাল, চীনাবাদাম, মাশরুম, ঝিনুকে উচ্চমাত্রায় জিংক রয়েছে। এগুলো উচ্চমূল্যের খাবার যা সকলের সবসময় সাধ্যের মধ্যে থাকে না। এজন্য গবেষণায় বায়োফার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ধান, গম, মসুরসহ বিভিন্ন ফসলের মধ্যে জিংকসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উচ্চমাত্রায় সংযোজন করা সম্ভব হয়েছে। যা নিয়মিত ভক্ষণ করলে জিংকসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন শরিফ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক), পাবনা; ড. মোঃ আনিসুর রহমান, সিএসও, বিএসআরআই, ঈশ্বরদী, পাবনা; এ এফ এম গোলাম ফারুক, উপপরিচালক, হর্টিকালচার সেন্টার, টেবুনিয়া, পাবনা ও ফকরুন নাহার, নির্বাাহী প্রধান, ভিআরডিএস। অনুষ্ঠানে বায়োফার্টিফাইড শস্য উৎপাদন ও স্কেলিং এর উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন ও উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। এসময় জিংক সমৃদ্ধ ধানের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক উন্মুক্ত আলোচনা, চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, ব্র্যান্ডিং নিশ্চিত করে বাজারজাতকরণে পাবলিক ও প্রাইভেট পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ, সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে এই ধানের অন্তর্ভূক্তিসহ জিংক সমৃদ্ধ অন্যান্য ফসল যেমন বারি মুগ-৮, বারি গম-৩৩ প্রভৃতিকে শস্যবিন্যাসে রাখার বিষয়ে বক্তারা আহবান জানান। অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা এর জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বারি, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, খাদ্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এনজিও প্রতিনিধি, হারভেস্টপ্লাস ও ভিআরডিএস এসজিও’র কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS