“ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক ভাই ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই” এই প্রতিপাদ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পাবনার যৌথ উদ্যোগে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২৪ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক পাবনার সম্মেলন কক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ড. মো: জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, পাবনা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শরিফ আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাবনা।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইঁদুর পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী, যা বিভিন্ন আবহাওয়া ও পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম। ইঁদুরের দাঁত সারা জীবন ধরে বাড়তে থাকে, তাই খাবারের পাশাপাশি কাঠ, কাপড়, কাগজ, এমনকি বৈদ্যুতিক তারও চিবিয়ে নষ্ট করে। ইঁদুরের শরীর ছোট ও নমনীয়, যা তাদের সহজে ছোট গর্ত বা ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে চলাচল করতে সাহায্য করে। এদের ঘ্রাণশক্তি ও শ্রবণশক্তি তীক্ষè, যা শিকারি প্রাণী থেকে বাঁচতে সহায়ক। ইঁদুর মূলত রাতের বেলায় সক্রিয় থাকে এবং খাবারের সন্ধানে বের হয়। ইঁদুর বিভিন্ন ধরনের রোগের বাহক হিসাবে কাজ করে। ইঁদুর সর্বভুক প্রাণী তারা সব ধরণের খাবার ক্ষেতে পারে। ধান চাল, গম, শাকসবজি, ফলমূল থেকে শুরু করে বর্জ্য সবকিছু খেতে অভ্যস্ত। এ কারণে ইঁদুর বাড়ি, খামার ও খাদ্য গুদামে খাবারের বড় ক্ষতি করে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে ইঁদুর বেড়ি বাঁধে গর্ত করার কারণে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা হয় ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় বয়ে আনে জনজীবনে দূর্যোগ। তিনি আরও বলেন বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষকের অক্লান্ত পরিরশ্রম ও কৃষকের দৌগগোড়ায় সেবা প্রদানকারী সম্প্রসারণকর্মীদের জন্য।
ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতে এক বণার্ঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাসহ কৃষক প্রতিনিধি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS