অদ্য ১০/৬/২০২৪ খ্রি. তারিখে কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কার্যালয়, পাবনা এর আয়োজনে কৃষি তথ্য বিস্তারে ই-কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণটি কৃষি তথ্য সার্ভিস, কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিদ্যমান কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র সমূহ (এআইসিসি) শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ই-কৃষির বিস্তার শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে উদ্বোধনী করেন মোঃখালেদীন আনাম, সহকারী তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, পাবনা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দিন , উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পাবনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মো. শামীম হোসেন মোল্লা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, পাবনা। পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার এআইসিসি ক্লাবের সভাপতি ও কষাণ-কৃষাণী সদস্য বৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশগহণ করেন।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জের চলমান কৃষির উৎপাদন বিষয়ক আলোচনার প্রেক্ষিতে এবারে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ সরিষার উৎপাদন হয়েছে। সারা বিশ্বে তেল উপাদনে সরিষার পরিমাণ ৩০% এবং বাংলাদেশে সরিষার উৎপাদণ ৩%। টরি-৭ সরিষার মধ্যে ইউরিক এসিডের পরিমাণ ৪৩%। বারি সরিষা-১৪ চাষের মাধ্যমে ২৪% ইউরিক এসিড কমানো সম্ভব হয়েছে। বাড়তি জনসংখ্যার জন্য আরো ১৬ লক্ষ টন সরিষা তেলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরিষা চাষের বিকল্প হিসেবে তিল চাষের পরামর্শ দেন কৃষকদের। বারি সরিষা -৫ খোসা ছাড়াতে হয় না এবং বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাষিদের উদ্দেশ্যে করে পাবনায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীল ফসল পেঁয়াজ চাষের কথায় বলেন পেঁয়াজ সবচেয়ে সালফার সার সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। সালফারের ঘাটতি হলে পেঁয়াজের ফুলকা দন্ড বেশি হয়। পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি বাড়াতে হলে ১০-২০ ভাগ সালফার সার বেশি প্রয়োগ করতে হবে। কৃত্রিম পরাগায়নের জন্য হাত দ্বারা পেঁয়াজের বাল্বে নাড়াচাড়া দিয়ে পরাগায়ন করতে হবে। প্রশিক্ষণে মাটি পরীক্ষা, জৈব সারের ব্যবহার, পারিবারিক পুষ্টিবাগানসহ বিভিন্ন অধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার আলোচনায় এসব উঠে আসে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS