Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
পাবনার সুজানগরে মসলা জাতীয় ফসলে ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
বিস্তারিত

গত ৩ মার্চ পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্ধ ইউনিয়নের ফুলালদুলিয়া গ্রামের কৃষাণি রাজিয়া বেগমের তাহেরপুরি জাতের পেঁয়াজ প্রদর্শনী ক্ষেতে, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলিজ প্রোগ্রাম ফেজ-২ অর্থায়নে, সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে মসলা জাতীয় ফসলের ওপর  মাঠ দিবস  অনুষ্ঠিত হয়।

 

ফুলালদুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ছাত্তারের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আজাহার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পাবনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তরের অতি: উপপরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ ড. মো. আজিজুর রহমান ও অতি: উপপরিচালক (ক্রপ) কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম, সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ময়নুল হক সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইশরাত জাহান। সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন,তাহেরপুরি পেঁয়াজ আমাদের সুজানগর উপজেলায় বেশ জনপ্রিয়। কিšতু চাষাবাদ কৌশলে আমরা এখনো অধুনিক হইনি এজন্য আশানুরুপ ফলন পাচ্ছিনা তাই অধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে চাষাবাদ করতে হবে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি জানতে কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ কারার অনুরোধ জানান। প্রধান অতিথি কৃষিবিদ আজাহার আলী বলেন,২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দানাদার খাদ্য, শাকসবজি,ফলমূলের উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে পাশাপাশি মশলাজাতীয় খাদ্যেতে স্বয়ংসম্পূর্ন হতে হবে। সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের মশলা জাতীয় আবাদের জমি বৃদ্ধি না করে আধুনিক জাতের মশলা চাষাবাদ করে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে বর্তমানে তাহেরপুরি জাত পেঁয়াজের অধিক ফলন শীল জাত। পেঁয়াজের পার্পল বøচ রোগ  সবচাইতে মারাত্বক। এই রোগ ছত্রাক জনিত রোগ। এরোগের জীবানু বায়ু ও বৃষ্টির পানির মাধ্যেমে বিস্তার লাভ করে। পার্পল বøচ আক্রমণে প্রথম পানি ভেজা দাগ দেখা যায়। পরে বাদামি গোল গোল দাগ দেখাদেয় এবং দ্রæত বিস্তার করে। পার্পল বøচ রোগে আক্রান্ত হলে ফলনে ধ্বস নামে। তাই রোগবালাই থেকে রক্ষার জন্য নিয়মিত জমি পরিদর্শনের করার অনুরোধ জানান এবং রোগবালাই  হলে কৃষি বিশেজ্ঞর পরামর্শ মোতাবেক ব্যবস্থার নেওয়া কথা উল্লেখ করেন। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পাবনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে অধিক উৎপাদনশীল জাত সমূহ যথাসময়ে যথাযথভাবে আবাদের মাধ্যমে কৃষি পন্যর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি উপস্থিত চাষীদেরকে নতুন জাত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া এবং দেশের মশলা জাতীয় খাদ্য আমদানী করা থেকে রক্ষাকরে দানা জাতীয় ফসলে ন্যায় রপ্তানী করার মত সামর্থ অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি আরো বলেন পেঁয়াজে একটি সঠিক সময়ে সেচ নির্ভর ফসল কিন্তু পেঁয়াজ আবাদ দাঁড়ানো পানি মোটেই সহ্য করতে পারে না নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, ঘনঘন পরিমিত পরিমান সেচের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি মাটিতে রসের ঘাটতি হলেই সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেন। আর সেচ ও নিস্কাশনের সুবিধার জন্য আগামিতে বেড করে পেঁয়াজ চাষারে অনুরোধ জানান। পেঁয়াজের বাড়ন্ত অবস্থায় বৃষ্টি হওয়ায় পেঁয়াজের ফলন ভাল হবে বলে জানান । মাঠ দিবসে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাসহ আশপাশের গ্রামের কয়েকশত কৃষক কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান টি সঞ্চালন করেন উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
04/03/2019
আর্কাইভ তারিখ
22/05/2019