মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন কৃষি খামার পরিদর্শন নবান্ন উৎসব ও কৃষক সমাবেশে যোগদান
গত ১৫ নভেম্বর/২২; গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করন। জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর মেহেরুন্নেছা পার্কে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে নবান্ন উৎসব ও কৃষি মেলা/১৪২৯ এবং কৃষক সমাবেশে যোগদান করেন। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয় জনাব মোঃ সায়েদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাননীয় কৃষি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গার-২ এর মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আলী আজগার টগর। উক্ত সমাবেশে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন অংশগ্রহন করেন।
চুয়াডাঙ্গার কৃষি খাতের সম্ভাবনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে কৃষক সমাবেশে কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষি হবে বাংলাদেশের মডেল। আধুনিক, উন্নত এবং কৃষকের লাভজনক কৃষি হলো অর্থকরী কৃষি। ফলমূল, শাকসবজিতে বিপ্লব ঘটবে চুয়াডাঙ্গায়। বক্তব্যের পূর্বে তিনি কৃষি প্রযুক্তি মেলা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালণা করেন সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব মোঃ তাল্হা জুবায়ের মাসরুর। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন- জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা।
কৃষি মন্ত্রী মহোদয় এর আগে এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দত্তনগর কৃষি খামার পরিদর্শন এবং জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুরে কৃষক জহিরুল ইসলামের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জমি, সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক আনার বাগান, জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট পরিদর্শন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দেশে খাদ্য ঘাটতি ও ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা নাকচ করে দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন,এবার প্রচুর পরিমানে আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষের কোন শঙ্কা নেই। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। আশা করি কোনো দুর্ভিক্ষ ও খাদ্যসংকট হবে না ইনশাল্লাহ্। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান থাকলে মানুষের একটু কষ্ট হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশে^র বড় রপ্তানিকারক দেশ। তাদের যুদ্ধের প্রভাব হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে জনগনকে পতিত ও অনাবাদি এক ইঞ্চি ও জমি যেন খালি না থাকে সে ব্যাপারে বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশে^র অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস হিসেবে আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
সংবাদ সংগ্রহে: মো. আসাদুল্লাহ, এআইসিও, কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক অফিস পাবনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস